জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কাটিয়ে দূষণহীন পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের লক্ষ্যেই বার্ট্রান্ড পিকার্ড এবং আন্দ্রে বরশবার্গ সৌরশক্তি চালিত বিমান ‘সোলার ইমপালস ২’ বানিয়েছিলেন। সুইজারল্যান্ডের ওই দুই বিজ্ঞানী ২০০৩ সালে সৌরশক্তি চালিত বিমান বানানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন।

বাজেট ছিল ৯ কোটি ইউরো (প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা)। লক্ষ্য ছিল— এক দশকের মধ্যে সাফলতা অর্জন। ২০০৯ সালে ‘সোলার ইমপালস ২’ বিমানটির প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শুরু হয়। মাটি থেকে মিটার দেড়েক উঁচু দিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েছিল বিমানটি।

২০১৩ সালে প্রথম দূরপাল্লার যাত্রা করেছিল ‘সোলার ইমপালস ২’। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিমানঘাঁটি থেকে ভোর ৬টায় যাত্রা শুরু করে টানা ১৮ ঘণ্টা পাড়ি দিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় পৌঁছেছিল অ্যারিজোনা প্রদেশের রাজধানী ফিনিক্সে।

২০১৫ সালে নিজেদের তৈরি বিমান নিয়ে বিশ্ব সফরে বেরি হয়েছিলেন পিকার্ড এবং বরশবার্গ। আমেরিকা থেকে রওনা হয়ে প্রথমে অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে দক্ষিণ ইউরোপ, এরপর উত্তর আফ্রিকা হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় এসেছিলেন তারা।

এছাড়া আবুধাবি থেকে উড়ে আহমেদাবাদ এসেছিলো ‘সোলার ইমপালস ২’। এরপর মায়ানমার ও চীন হয়ে ফের আমেরিকায় পাড়ি জমান দুই সুইস বিজ্ঞানী।